<<<<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
তাবলীগ একটি গুরুত্বপুর্ন ও ঈমানী দ্বায়িত্বপুর্ন সোয়াবের কাজ। #তাবলীগ এর অর্থঃ “পৌছে দেয়া” অর্থ্যাৎ আল্লাহর বানীকে সর্বস্তরে পৌছে দেয়াই তাবলীগ।
তাহলে জানা দরকার তাবলীগের শর্ত কয়টি??
সুরা আল-আছর থেকে আমরা জানি যে এর পুর্বশর্ত ২ টিঃ
১. ঈমান আনা নিজে ২. সৎ আমাল করা নিজে
তারপরে, ৩. ►তাবলীগ মানে মানুষকে ঐ ঈমান সম্পর্কে জানানো
সবার শেষে একটি শর্তঃ ৪. ধৈর্য ধরা নিজে
ঐ উপরের শর্ত পুরন হলেই তাবলীগ #সম্ভব তা ছাড়া নয়।
◄ এখন দেখা যাক আমাদের অতি পরিচিত দ্বীনের মেহনতকারী, ফয়েজ হাসিলকারী, বুজুর্গানে দ্বীনের বিশেষ #মুরীদ, বহুত #ফায়দা আছে #বয়ানের বক্তাদের যে “তাবলীগ” তার বিষয়ে কিছু জানা দরকার … … ►
#প্রথমত বলে নেই, এই লিখাটি কোন #আঘাত এর উদ্দেশ্যে না বরং সত্যটা জানানোর ও উপলব্ধির জন্য যারা শুনে ও বুঝে তাদের জন্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রকৃত #হিদায়াত আছে
এই পর্বে শুধু জানাবো আমাদের সমাজে যে #প্রচলিত চিল্লার পার্টী, #রাস্তায় রাস্তায় দ্বীনের মেহনতকারী যে লেবাসধারী তাবলীগি লোকেরা আছেন তাদের তাবলীগ সঙ্গঠনের পরিচয়।
আসল নামঃ “ইলিয়াসী তাবলীগ”
প্রতিষ্ঠাতাঃ “মওলানা ইলিয়াস আল কান্ধলভি”
প্রতিষ্ঠা #সালঃ ১৯২৬
সিলেবাসঃ ১. ফাযায়েলে আমাল ২. ফাযায়েলে সাদাকাত
[এই দুই বই ছাড়া তারা কুর’আন ও সহীহ হাদিস পড়তে সরাসরি নিষেধ করে এবং কেউ পড়লে তাকে ধমকও পর্যন্ত দেয়]
____________________________________________
প্রচলিত তাবলীগ বা ইলিয়াসী তাবলীগ এর ব্যাপারে কিছু লিখা অতন্ত্য মারাত্মক বিষয়। এটা নিয়ে বাস্তব জীবনেও অনেক কিছু face করেছি। যাই হোক সত্য কিছু দেখানো যাক যারা #অন্ধভাবে এই দলটিকে বিশ্বাস করছেন তাদের জন্য।
►আজ লিখবো আসলে এই দলটি আসলো কিভাবে সে নিয়ে?
প্রথমত, ইলিয়াস স্কান্ধলভী সাহেব তার শেষ জীবনে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের অশিক্ষিত গ্রাম মেওয়াদ গ্রাম থেকে এই তাবলীগ জামাত (চিল্লা) শুরু করেন। আরো মজার একটা তথ্য জানিয়ে রাখি যে, সাধারনত তাবলীগ শুরু হয় কি দিয়ে … কুর’আন ও সহীহ সুন্নাহ দিয়ে তাই না?? ►কিন্তু আমাদের বিশেষ #চিল্লার পার্টির তাবলীগ এর প্রথম থেকে আজ অবধি শুরু হয়েছে সপ্ন-কিচ্ছা কাহিনী SCI-FI গল্প দিয়ে … আল্লাহ আমাদের হেফাজাত করুন আমিন।
শুরুটা কিভাবে হল?
এটা তাবলীগের #ইতিহাসে তাদের নিজেদের #বিখ্যাত বয়ান থেকে জানা যায় যে,
একদা জনাব ইলিয়াস সাহেব মসজিদের #নববীতে একবার ঘুমাচ্ছিলেন (কেউ কেউ বলেন জেগেছিলেন) এসময় নাকি রসুল(সঃ) তার সামনে এসে বললেন,
►►►”ইলিয়াস তুমি গাফেল না থেকে মদিনায় এভাবে বসে না থেকে ভারতে গিয়ে ইসলাম প্রচার কর … … ” আরো হাবি জাবি কথা !!◄◄◄
এরপরে মা শা আল্লাহ!! তিনি এসে এই #সপ্নের উপর ভিত্তি করে শুরু করা হল SHORT COURSE ওয়ালা কোটি কোটি নেকিভিত্তিক এক বিদ’আতি তাবলীগ আর যার উপাদান ছিল সব #মুর্খ লোকেরা … এখন পর্যন্ত সাধারনত যারা কুর’আন সহীহ সুন্নাহ বিষয়ে অজ্ঞ তারাই তাবলীগে বেশি যায়।
►আর তাদের প্রাথমিক বয়ান থাকেই,
ইলিয়াস সাহেবের সপ্ন-ঘুম, বুজুর্গানে দ্বীনের কিচ্ছা-কাহিনী, বানোয়াট কবর পুজা-মাজার পুজার কথা আর কথিত ওলীদের ভ্রান্তসব ঘটনা।
ইলিয়াসী তাবলীগের কয়েকটি মুল লক্ষ্য আছে এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলঃ
১. মানুষকে মাজহাব পন্থী (তাক্বলীদ) করা
২. সুফীবাদের মত কুফুরী আক্বীদায় ঢুকানো
৩. বিদ’আতি #আমাল করানো
►এদের মধ্যে কয়েকটি স্তরের জনগন আছে একটু খেয়াল করলে আমরা দেখতে পারবোঃ
১. এমন যুবক ছেলেরা যারা হঠাৎ করে তাবলীগের সুন্দর কথা শুনে আকৃষ্ট হয় (মনে করে এটাই আসল ইসলাম)
২. সাধারন মুর্খ কিছু লোকেরা
৩. একটু উচ্চবিত্ত শেষ বয়সী লোকেরা যারা সারাজীবন দুনিয়ার পিছনে ছুটে শেষ মেষ চিল্লায় যায়
৪. কিছু হারামখোর লোকেরা যারা প্রাশ্চিত্তের (নেকি লাভের) মিছে আশায় চিল্লায় যায় মনে করে এদের আগের গুনাহ সব মাপ হয়ে যাবে
৫. কিছু মাদ্রাসার পোলাপাইন হুজুগে যোগদান করে
৬. এদের মধ্যে কয়েক চিল্লাওয়ালা ব্যাক্তি হয় আমীর !!!
৭. কিছু থাকে বিদ’আতি আলেমদের মধ্যে এদের সংখ্যা অনেক কম … …◄
ভালো করে #খেয়াল করবেন তাবলীগ করছে এমন কিছু লোকেরা যারা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানে না এমনকি তাদের #এতটুকু জ্ঞান ও নেই যে কি বলে তাবলিগ করতে হবে …
এরা শুধু রাস্তায় নামে মানুষকে ধরে আর বহুত আখিরাতি বয়ান শুনায় এদের উপমা দিতে গিয়ে
#নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) উপমা দেন যে,
▓ ► “তাবলীগ এমন এক জাতি তার উপমা হল, এক দল #তরবারি হাতে রাস্তায় বের হয়ে সামনে এক ইয়াহুদিকে পেয়ে বলল তুমি #ইসলাম গ্রহন কর!!! #ভয়ে সে ইয়াহুদি তার কথায় সম্মতি দিল আর বলল, আমি কি #বলে ইসলাম গ্রহন করব?
তখন ঐ তরবারী হাতে দলটি #হতভম্ব হয়ে বলল, আমি তো সেটা জানি না” ◄▓
এর মানে এই দলটি #জাহেল এক দল যারা কিছুই তেমন জানে না কিন্তু রাস্তায়-মাসজিদে নেমেছে তাবলীগের উদ্দেশ্যে … #হাস্যাকর জাতি। এদের প্রচলিত একটি #ডায়লগঃ
»»» » জানার #নাম ইসলাম না #মানার নাম ইসলাম ««« «
========∞===========
প্রচলিত ইলিয়াসী তাবলীগের এবারে যে বিষয়টি তুলে ধরব যেটা হল, #শিরক।
=============
এত বড় একটা জাম’আত যেখানে মুল সিলেবাস হল বিষ-খ্যাত ফাজায়েলে আমাল সেই বইয়ের সম্পর্কে কিছু ফ্যাক্টস জেনে নেইঃ
১. শিরকি-বিদ’আতি-কুফুরী বইঃ ফাজায়েলে আমাল
২. লিখকঃ মাওলানা যাকারিয়া ছাহেব স্কান্ধলভী (বিদ্রঃ তিনি ইলিয়াস আহমেদ এর #জামাই)
প্রশ্ন হল কেন শিরক বই প্রথমে বললাম?
তার আগে একজন মুসলিম হিসেবে মুসলিম ভাই-বোনদের একটা প্রশ্ন করি আশা করি এতটুকু জ্ঞান সবার আছে।
প্রথম প্রশ্নঃ কেউ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যাতিত অন্য কারো সন্তুষ্টির জন্য কোন ইবাদাত করে তাহলে সেটা কি হবে?
►উত্তরঃ এক কথায় শিরক (রিয়া) এবং অনেক ক্ষেত্রে এই শিরক বড় শিরক।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ আচ্ছা কেউ যদি আরেকজনের সন্তুষ্টির হাসিল করে এর উছীলায় আল্লাহর নিকট নাজাত চায় তাহলে সেটা কি হবে?
◄উত্তরঃ সোজা কথায় এই কাজেও স্পষ্ট #শিরক।
কেননা,
#একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য আমাদের ইবাদাত করতে হবে এমনকি আমাদের দৈনন্দিন পড়াশুনা, খাওয়াদাওয়া, সমাজসেবা সবকিছু আল্লাহর জন্যই করতে হবে। নয়তবা সব #শিরক হবে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
এবার আসি আমাদের #লিখক ফাজায়েলে আমাল এর শুরুতে #ভুমিকার পৃষ্ঠা (ঘরে বইটা থাকলে ভুমিকাটা দেখে নিন) লিখেছেনঃ
▄ ▌”এত বড় বজুর্গের সন্তুষ্টি হাসিল করা আমার পরকালে নাজাতের উসীলা হইবে মনে করিয়া আমি উক্ত কাজে সচেষ্ট হই ।” ▌▄
► মানে তিনি বইটা তার #শ্বশুর এর #সন্তুষ্টির জণ্য লিখে আল্লাহর কাছে নাজাত চেয়েছেন। এখন উপরের প্রশ্ন-উত্তর এর সাথে মিলিয়ে নিন বেচারা লিখক শুরুতেই যদি #শিরক দিয়ে #START করে তাহলে সে বইয়ের ভিতরে কি থাকতে পারে!
ইন শা আল্লাহ আরো সপ্নের জগতের #গাজাখুরি বয়ান নিয়ে ইলিয়াসী তাবলীগ এর সত্য উম্মোচন করবো পরের পর্বে।